একবিংশ শতাব্দীর বিপ্লবঃ বায়োইনফরম্যাটিক্স



বায়োইনফরম্যাটিক্স এর বাংলা হচ্চে জৈবতথ্য বিজ্ঞান। ইংরেজিতে একে বলা হয়েছে এক ধরণের interdisciplinary field। অর্থাৎ, জৈবতথ্য বিজ্ঞানে জীববিজ্ঞানের সাথে আরও কত গুলো বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে। সেই বিষয়গুলো হচ্ছে প্রথমত, কম্পিউটার বিজ্ঞান, দ্বিতীয়ত, গাণিতিক অ্যালগরিদম ও পরিসংখ্যান। বায়োইনফরম্যাটিক্সে যে জীববিজ্ঞানের কথা বলা হচ্ছে তা মূলতঃ অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, ইংরেজিতে যাকে মলিকুলার বায়োলজি বলা হয়। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এই অনুপ্রাণ বিজ্ঞানের সাথে কম্পিউটার বিজ্ঞানের সম্পর্কটা আসলে কী?

আমার বায়োইনফরম্যাটিক্স সম্পর্কে জানার ও জানানোর আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে কয়েকটি কারণ থেকে। আমি নিজেই মৌলিক ভাবে একজন বায়োলজিক্যাল সাইন্সের ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কম্পিউটার বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ পোষণ করতাম সবসময়। প্রতিদিন গড়ে অন্ততঃ পাঁচ ঘণ্টা  আমার কম্পিউটারের সামনে বসে ব্যয় হত এবং সেই সময়টা এখন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বায়োলজিক্যাল সাইন্সে পড়া একজন শিক্ষার্থীর কম্পিউটারের সামনে বসে সময় নষ্ট করার যৌক্তিকতা কতটুকু। শুরুর দিকে আমি কোন প্রকার যুক্তি দেখিনি। কম্পিউটারে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা ভালো লাগে শুধু এতটুকুই বলতে পারতাম। বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্সের ক্লাসে স্যার আমাদেরকে বায়োইনফরম্যাটিক্স সম্পর্কে অল্প কিছু তথ্য দিয়েছিলেন । তাতে অনুপ্রাণ বিজ্ঞানের সাথে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক সম্বন্ধে জানতে পারি। কিন্তু ব্যাপারটা ছিল অনেকটাই ধোঁয়াটে। এদিকে একটা প্রাইভেট প্রোগ্রামে উচ্চমাধ্যমিকের আইসিটি শিক্ষক হিসেবে লেকচার দেয়া শুরু  করেছিলাম। যদিও আইসিটি সম্পর্কে বেশ কিছু নিবন্ধ ও গ্রন্থ পড়েছি তথাপি উচ্চ মাধ্যমিকের আইসিটি বইটি আমার কাছে নতুন। সুতরাং বইটি উল্টিয়ে পালটিয়ে দেখতে হল। বইটির কোন একটা জায়গায় বায়োইনফরম্যাটিক্স সম্পর্কে একটা বর্ণনা দেখতে পেলাম, স্যার আমাদের ক্লাসেই যার সম্পর্কে অল্প কিছু বলেছিলেন। ভাবতেই অবাক লাগলো যে আজকে যেখানে উচ্চমাধ্যমিকে কলেজের ছাত্র বায়োইনফরম্যাটিক্স সম্পর্কে পড়ছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার সত্ত্বেও ওই বিষয় সম্পর্কে আমার ধারণা প্রায় শুন্য। সুতরাং বায়োইনফরম্যাটিক্সের সাধারণ জ্ঞানকে ঝালাই করতে হল।

বিজ্ঞানীরা সারাটা জীবন মানব কল্যাণের জন্য বিভিন্ন গবেষণা কর্ম চালিয়ে যান। অক্লান্ত শ্রমের বিনিময়ে তৈরি বহুমূল্য এই গবেষণা কর্মগুলি বিজ্ঞান বইয়ের পাতাকে প্রতিনিয়ত ভারী করে তোলে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা অনেক সময় অজান্তেই পূর্বে তৈরি হয়ে যাওয়া গবেষণা কর্মে শ্রম দিয়ে অত্যন্ত মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলেন। পৃথিবীর এক প্রান্তের গবেষণার ফল অন্য প্রান্তের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে আবিষ্কারে খুব দ্রুতই বিপ্লব নিয়ে আসা সম্ভব হয়। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন এমন একটি টুলের যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষণার মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করতে পারে। এই টুলটিই প্রদান করে বায়োইনফরম্যাটিক্স। বিজ্ঞানী আর গবেষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর গবেষণার ফলে যে বহুমূল্যবান তথ্য প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে সেই সকল তথ্যের মধ্যে  বায়োইনফরম্যাটিক্স যে আন্তঃসংযোগটি প্রদান করে তার ফলে গবেষণাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণের জন্য অনুপ্রাণ বিজ্ঞানে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগকে বায়োইনফরম্যাটিক্স বলা যেতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির এই প্রয়োগ মূলত বিভিন্ন বায়োলজিক্যাল ডাটা এনালাইসিসকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই বায়োলজিক্যাল ডাটার পরিধি মূলত ডিএনএ, জীন, অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, নিউক্লিক এসিড এগুলোর মধ্যেই মোটামুটি ভাবে সীমাবদ্ধ থাকে।

প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক মডেলিং

উপরে যতটুকু বলা হল আমার মনে হয় না তাতে বায়োইনফরম্যাটিক্সের প্রাথমিক ধারণা যথেষ্ট পরিষ্কার হয়েছে। বায়োইনফরম্যাটিক্সের প্রয়োগ যেহেতু কৃষি, মাৎস্য ও পশু চিকিৎসা খাতেই সর্বাধিক, সুতরাং এগুলোর মাধ্যমেই বিষয়টি উদাহরণের সাহায্যে বোঝানো যেতে পারে। ধরুন, কোন এক প্রকার ভাইরাস কোন কৃষিজ পণ্য, বা কোন মাছের মধ্যে কিংবা কোন গবাদি পশুতে মহামারী আকারে ছড়ায়। সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে পেপটাইড ভ্যাক্সিন তৈরি করা প্রয়োজন। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে শতাধিক পেপটাইড সম্ভব হতে পারে। কিন্তু এদের মধ্যে হয়ত মাত্র তিন চারটি পেপটাইড ভ্যাক্সিন হিসেবে কাজ করতে পারে। এখন এই তিন চারটি পেপটাইডকে খুঁজে পেতে শতাধিক পেপটাইডের উপর গবেষণাগারে পরীক্ষা চালাতে হয়। যাতে লক্ষ লক্ষ টাকা, পরিশ্রম আর সুদীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কারণ এখানে শতাধিক উপাদান থেকে মাত্র তিন চারটি উপাদানকে বহুমূল্যবান রিয়াজেন্টেন মাধ্যমে পরীক্ষা করে খুঁজে বের করতে হবে। যা যথেষ্ট সময় আর শ্রম সাপেক্ষ। কিন্তু এই কাজটিই যদি কোন ড্রাই ল্যাবে কোন প্রকার রিয়াজেন্টের ব্যবহার ছাড়াই স্বল্প সময়ে করা যেতে পারত তবে গবেষণার কাজ স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত। এজন্য গবেষকগণ এমন একটি টুল উদ্ভাবনের কথা চিন্তা করলেন যা এমন একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক ড্রাই ল্যাব তৈরি করবে যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকগণ গবেষণা কাজ চালাতে পারেন। আর তা সম্ভবও হল। গবেষকগণ এমন কতগুলো সফটওয়্যার ডেভ্লপ করে ফেললেন যেখানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন বায়োলজিক্যাল ডাটার বিশ্লেষণ করে ঐ ডাটা সমূহের ত্রিমাত্রিক মডেলিং, সিমুলেশন বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়। এ ধরণের টুলের সাহায্যে ড্রাই ল্যাবে কোন ধরণের রিয়াজেন্টের সাহায্য ছাড়াই স্বল্প সময়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসে থাকা গবেষকদের সহায়তায় উপরের উদাহরণের মত শতাধিক পেপটাইড থেকে সম্ভাব্য দশটি পেপটাইড খুঁজে বের করা সম্ভব হয়। এভাবে শতাধিক পেপটাইড নিয়ে ওয়েট ল্যাবে কাজ করা ছাড়াই এই দশটি মাত্র পেপটাইড নিয়ে কাজ করে দশ গুণ কাজের সময় কমিয়ে, শ্রম আর অর্থ সাশ্রয় করে দেয় যে পদ্ধতিটি  সেটিই বায়োইনফরম্যাটিক্স। 


NCBI-এর জীন সিকুয়েন্স ম্যাপ
আমরা মোটামুটি সকলেই সংকরায়ন কথাটি সম্পর্কে অবগত রয়েছি। সংকরায়ন এমন একটি প্রক্রিয়া যেটি একুশ শতকের এই ভয়াবহ পারিবেশিক প্রক্রিয়ার মধ্যেও কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে জনবহুল বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত রেখেছে। সংকরায়ন প্রক্রিয়ায় একাধিক গুণাবলী সম্পন্ন জাত থেকে ঐ সকল গুণের নিয়ন্ত্রণ করে যে জীনগুলি সে জীনগুলিকে একটি নির্দিষ্ট জাতের মধ্যে নিয়ে আসা হয়। এই অত্যন্ত জটিল কাজটিকে সহজ করে দেয় বায়োইনফরম্যাটিক্স। তাই এখন গবেষকরা কম খরচে, পরিবেশের কম ক্ষতি করে বেশি উৎপাদনের পদ্ধতিটি খুঁজে বের করার জন্য বায়োইনফরম্যাটিক্সের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে বায়োইনফরম্যাটিক্স কৃষিজ উৎপাদন খাতে দুনিয়াকে নেতৃত্ব দেবে।

উপরের স্ক্রিনশটে একজন বায়োলজিস্ট এমন একটি ঘোষণা দিচ্ছেন যে
তাঁরা ওয়েব সার্ভারে এমন একটি সফটওয়্যার তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন
 যেটি কিনাপ্রোটিন তথা ডি-অ্যামিনো এসিড সম্পর্কে পূর্ব ধারণা দিতে পারে।


১৯৫০ সালের শুরুর দিকে ফ্রেডারিক সেঙ্গার ইনসুলিনের সিকুয়েন্স সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। ঠিক তখনই বিশ্ব প্রোটিনের সিকুয়েন্স সম্পর্কে সর্বপ্রথম অবগত হওয়ার মাধ্যমে অনুপ্রাণ বিজ্ঞানে
কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। বায়োইনফরম্যাটিক্সের মাধ্যমে প্রোটিনের একাধিক সিকুয়েন্সের মধ্যে তুলনা হয়ত সর্বপ্রথম করেছিলেন আমেরিকান মহিলা রসায়নবিদ ডঃ মার্গারেট ওয়াকলে ডেহফ্‌। যাকে ন্যাশনাল সেন্টার ফর্‌ বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন(NCBI)-এর ডিরেক্টর ডেভিড লিপম্যান বায়োইনফরম্যাটিক্সের মাদার এবং ফাদার হিসেবে অভিনন্দিত করেছেন। ডঃ ডেহফ্‌ ডেটাবেজের মধ্যে ডেটা টেবিলের শুরুর দিকের কোন প্রোটিনের সিকুয়েন্স তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং পরবর্তীতে সিকুয়েন্স অ্যালাইনমেন্ট ও অনুপ্রাণের বিবর্তনের ধারণা প্রদানের মাধ্যমে বায়োইনফরম্যাটিক্সের আলোকবর্তিকা হন।

বায়োইনফরম্যাটিক্সের মাধ্যমে আজকাল অনেক জটিল প্রক্রিয়া সম্পাদিত হচ্ছে। যেমনঃ সিকুয়েন্স অ্যালাইনমেন্ট, কাঙ্ক্ষিত জীন খুঁজে বের করা, জিনোম অ্যাসেম্বলি, ড্রাগ ডিজাইন করা, প্রোটিনের গঠন অ্যালাইন করা, প্রোটিনের গঠন সম্পর্কে পূর্ব ধারণা দেয়া ইত্যাদি। যে ওপেন সোর্স সফটওয়ারের মাধ্যমে বায়োইনফরম্যাটিক্সের এই জটিল কাজগুলো সম্পাদনা করা হচ্ছে সেগুলি হচ্ছে বায়ো কনডাক্টর,বায়ো-পার্ল, বায়ো-পাইথন, বায়ো-জাভা, বায়ো-জাভাস্ক্রিপ্ট  ইত্যাদি। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এই সফটওয়্যারগুলো যারা ডেভ্লপ করেছেন তাঁরা একাধারে বায়োলজিস্ট ও প্রোগ্রামার। অত্যন্ত অবাক হওয়ার বিষয় যে, পৃথিবী আজ কোথায় চলে গিয়েছে আর আমরা এ অবধি কোথায় পড়ে আছি! 

Share:

গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরী

ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অংশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল এই গ্রাফিক্স কার্ড। একে নিয়েই আমাদের যত জল্পনা কল্পনা। কার কম্পিউটারে এটি উপস্থিত কার কম্পিউটারে অনুপস্থিত। এর আকার কত জিবি। এর নির্মাতা কোম্পানি কোনটি? এগুলোই আমরা ভাবি ল্যাপটপ কেনার অথবা ডেস্কটপ বানানোর আগে। অনেকেই আবার এই বিষয়টার সাথে একদমই অপরিচিত। পরিচয় থাকুক বা না থাকুক গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে অবশ্যই আমাদের ভেবে দেখা উচিত আমাদের প্রয়োজন এবং বাজেট এর প্রতুলতার কথা। কারন অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় আবার অনেকের কাছে খুব প্রয়োজনীয় এই জিনিসটির মূল্য মোটেই কম নয়। এবং প্রয়োজন মাফিক সঠিক গ্রাফিক্স কার্ডটি সিলেক্ট করাও একটি চ্যাঁলেঞ্জিং বিষয় কারণ বাজারে অনেক মডেলের অনেক গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। সেই চ্যাঁলেঞ্জিং কাজটিকে সহজ করে দেওয়ার প্রচেষ্টাই করা হবে এই আর্টিকেলটিতে। শুরু করা যাক তাহলে:

গ্রাফিক্স কার্ড কি?

আমরা মনিটর এ যা দেখি সেগুলো তৈরি হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু দিয়ে যেগুলোকে বলা হয় Pixels। সাধারন রেজুলেশন-এ সব মনিটর এই এক মিলিয়ন এরও অধিক pixels দেখায়। কোন স্থির অথবা চলমান দৃশ্য দেখানোর জন্য ডিসপ্লে এই প্রতিটি Pixel কে কিভাবে সাজাবে সে বিষয়ে কম্পিউটারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই কাজটি করার জন্য কম্পিউটারের একটি ট্রান্সলেটরের প্রয়োজন হয় যার কাজ থাকে CPU থেকে সংগৃহীত Binary Data কে একটি ছবিতে রুপান্তর করা। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই করে থাকে গ্রাফিক্স কার্ড। একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে বিষয়টি সহজ করা যাক। ধরা যাক, আমাদের কম্পিউটার একটি প্রতিষ্ঠান যার নিজস্ব একটি Art Department রয়েছে। যখন কোন ক্রেতার একটি নির্দিষ্ট ছবির প্রয়োজন হয় তখন সে Art Department-এর নিকট একটি Order place করে। Art Department সেটি কাগজে টুকে নেয়। সব শেষে End Result হিসেবে সেই ক্রেতার Idea একটি দৃশ্যমান ছবিতে রূপ দেয় সেই প্রতিষ্ঠানটির Art Department। এই Art Department-ই হল আমাদের কম্পিউটারের গ্রাফিক্স মেমরি।

গ্রাফিক্স কার্ড কেন প্রয়োজন?

গ্রাফিক্স কার্ড এখন আর শুধুমাত্র গেম খেলা এবং ভিডিও প্লেব্যাক এর জন্য ব্যাবহৃত হয়না। অনেক কাজ রয়েছে গ্রাফিক্স কার্ড এর। যেমনঃ
১ - প্রোগ্রামাররা আবিষ্কার করেছে যে সাধারন গানিতিক হিসাব নিকাশ দ্রুততর করতে গ্রাফিক্স কার্ড সাহায্য করে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেমনঃFacial Recognition এবং Language Processing এর কাজ করে গ্রাফিক্স কার্ড।
২ - Cryptocurrency mining এর কাজেও গ্রাফিক্স কার্ড সাহায্য করে।
৩ - ভাল মানের গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া ভিডিও এডিটিং সম্ভব না।
৪ - Photoshop এবং Illustrator এর কাজ সহজতর করে গ্রাফিক্স কার্ড।
এখন সবার মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে আমার PC তে তো গ্রাফিক্স কার্ড নেই। আমি কি Photoshop এবং Illustrator এর কাজ করতে পারবোনা? Youtube-এ 4K ভিডিও দেখতে পারবনা? অবশ্যই পারব। কারণ, আমাদের সবার PC তে Intel অথবা AMD এর গ্রাফিক্স কার্ড (কম শক্তিশালী) ইন্টিগ্রেটেড থাকে। এই গ্রাফিক্স কার্ডগুলো এধরনের lightweight কাজ অনায়াসে করতে পারে। তবে গেমার এবং প্রডাক্টিভ কাজ যারা বেশি করেন তাদের জন্য এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ড(NVIDIA,AMD) আছে এমন PC কেনার পরামর্শ থাকল।

পরিমান নাকি পরিচয়?

কম্পিউটার কেনার সময় আমরা সব চেয়ে যে ভুলটি বেশি করে থাকি তা হল উপরের এই প্রশ্নের উত্তরটি। আমরা এখনও অনেকে ধারনা করে থাকি যে বেশি মানেই হয়ত ভাল। কিন্তু না। প্রযুক্তি এই নিয়ম মেনে চলে না। প্রযুক্তি মেনে চলে নতুন আবিষ্কার এবং নতুন প্রজন্মের নিয়ম। এক কথায় বলা যায় প্রযুক্তি যত নতুনতর হবে সেটি তার পূর্ব প্রজন্ম থেকে ভাল হবে এমনকি আকার বা সংখ্যায় ছোট হলেও। গ্রাফিক্স মেমরি এর বেলাতেও একই নিয়ম। একটি গ্রাফিক্স কার্ড ভাল হওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি বৈশিষ্ট্য হলঃ
১। মডেল নাম্বার
২। মডেল নাম্বার
৩। মডেল নাম্বার
অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে যে গ্রাফিক্স কার্ড পছন্দ করার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি লক্ষ রাখতে হবে তা হল মডেল নাম্বার। কারণ, মডেল নাম্বার দ্বারা কার্ডটির Graphics Processor(GPU), Clock Rates এবং Memory Bandwith সম্পর্কে জানা যায় যেগুলো নির্ধারণ করে গ্রাফিক্স কার্ডটির ক্ষমতা কতটুকু। যেমনঃ NVIDIA GTX 940MX অথবা AMD Radeon RX 530। এখানে NVIDIA এবং AMD হল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং 940MX এবং 530 হল মডেল নাম্বার।

4 GB or 2 GB? কোনটা ভালো?

শুধু মাত্র বেশি গ্রাফিক্স মেমরি আছে বিধায় সেই গ্রাফিক্স কার্ডটি চয়েস করাটা অনেকটা বড় সাইজ এর তেল এর ট্যাঙ্ক দেখে বাইক কেনার মত এবং এই ভুলটিই আমরা বেশি করে থাকি। মূলত অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে একটি গ্রাফিক্স কার্ড ভাল হওয়ার জন্য। তবে একটি কমন বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে। সেটি হল মডেল নাম্বার দিয়ে কার্ড এর ক্ষমতা বোঝার চেষ্টা করা। Higher the model number, Higher the power।যেমনঃ Nvidia Gtx 940MX এর 4 GB থেকে Gtx 1050 এর 2 GB বেশি শক্তিশালী। তেমনিভাবে Nvidia GT 1030 এর 4 GB থেকে GTX 1060 এর 3 GB বেশি শক্তিশালী।
ওপরের picture-টিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি GTX 1050 2GB এর Performence Radeon RX 560 4GB থেকেও ভালো। তাই আমাদের সবার লক্ষ্য রাখা উচিত যেন ভবিষ্যতে এই ভুলটি আর না হয়।

GDDR3 or GDDR5?

অবশ্যই GDDR5। কারণ, Bandwith নির্ধারণ করে একটি মেমরি এর Performence কতটা ভালো হবে। এজন্য GDDR5 মেমরিগুলোর Performence প্রায় দিগুণ হয় GDDR3 এর মেমরি থেকে। অর্থাৎ GDDR5 এর 1 GB, GDDR3 এর 4 GB থেকে সহস্রগুণে ভাল।

CPU + GPU:

শুধুমাত্র ভাল গ্রাফিক্স প্রসেসর হলেই যে অনেক ভাল Performance পাওয়া যাবে তা একদমই না। ভাল গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে প্রয়োজন ভাল প্রসেসর। 2nd generation এর একটি প্রসেসর এর সাথে যদি বর্তমান সময় এর সবথেকে জনপ্রিয় GPU GTX 1050 জুড়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে মোটেই ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে না কম্পিউটার থেকে। কিন্তু ঐ একই GPU যদি 8th generation এর একটি CPU এর সাথে লাগানো হয় তাহলে অবশ্যই একদম পুরো performance পাওয়া যাবে কম্পিউটার থেকে। তাই সবসময় CPU এর কথা ভেবেই গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে হবে।

কুলিং সিস্টেম এর আবশ্যকতাঃ


কুলিং সিস্টেম ছাড়া একটি কম্পিউটার অনেকটা অচল। কম্পিউটার এর performance কে stable রাখতে এবং দীর্ঘ সময় এর জন্য সচল রাখার জন্য কুলিং সিস্টেম এর বিকল্প নেই বললেই চলে। আমাদের কম্পিউটার এর Central এবং Graphics উভয় Processor অনেক গরম হয় কম্পিউটার যখন সচল থাকে। এই উৎপন্ন তাপ বের করার জন্য তাই প্রয়োজন পরে Exaust Fan এর। এই Exaust Fan গুলোর সমন্বয়কে বলা হয় কম্পিউটার এর কুলিং সিস্টেম। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে যদি অনেক শক্তিশালী গ্রাফিক্স মেমরি লাগানোর কথা মাথায় আনি তাহলে অনেক ভালো মানের একটি কুলিং সিস্টেম ও লাগাতে হবে Performence ঠিক রাখার জন্য।

আশা করা যায় অনেকগুলো কমন প্রশ্নের জবাব পাওয়া গিয়েছে। আর হ্যাঁ, এখন কোন গ্রাফিক্স কার্ড-এর Performance সম্পর্কে জানতে হলে YouTube এ যান এবং Rendering অথবা Gaming Performance দেখে বাজেট এর মাঝে সেরা কার্ডটি খুঁজে বের করে ফেলুন।


Writer: Hasibul Haque Rodro
Rodro is a regular and active intern of NBICT LAB. He is a student from the department of Electrical and Electronic Engineering of Hajee Mohammad Danesh Science & Technology University.

For any kind of question about GPU feel free to e-mail him at: hhr1016@hotmail.com or ask your questions in the comment box.
Share:

কীভাবে নিজের পছন্দের ল্যাপটপটি বাছাই করব?





ল্যাপটপ কেনার আগে আমরা অনেকেই একটা সমস্যায় পড়ি যে কোন ল্যাপটপ কিনব? সবার প্রশ্ন একই হলেও এর সমাধান হয় এক এক জনের জন্য এক এক রকম। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় অনেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত ল্যাপটপটা কিনতে পারেন না। অথবা, যে কাজের জন্য কিনেছেন সেই কাজটিই হচ্ছে না পুরোপুরিভাবে। অবশেষে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমরা যেটা কিনেছি সেটা নিয়েই খুশি থাকার চেষ্টা করি। অথচ এই বড় সমস্যাটির সমাধান কিন্তু অতি সহজে কারো সাহায্য ছাড়াই আমরা নিজেরাই করতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বেসিক জিনিস জানতে হবে। সেগুলা নিয়েই আজকের আলোচনা। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

নিজের প্রয়োজন সম্পর্কে জানাঃ

ল্যাপটপ কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনি মূলত কোন কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন। কেউবা ফটোগ্রাফির কাজ করেন, কেউ আবার সারাদিন এতটাই ব্যাস্ত থাকেন যে ল্যাপটপে চার্জ দেওয়ার সুযোগ তেমন হয়ে ওঠে না। অথচ সারাদিনে অনেকবার আপনার ল্যাপটপ প্রয়োজন হয়। আবার কেউবা প্রচুর গেম খেলেন। তাই প্রথমত ঠিক করুন আপনি মূলত কোন প্রয়োজনে ল্যাপটপটি কিনবেন। সব ল্যাপটপ বা নোটবুকেই গান শোনা, ভিডিও দেখা, নেট সারফিং, গেম খেলা যায় কিন্তু প্রত্যেকটা ল্যাপটপ বা নোটবুকেরি স্পেসিয়ালিটি থাকে যেটি সম্পর্কে ছোট করে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বেশি কঠিন করে না ভেবে সহজভাবে নেওয়ার চেষ্টা করলেই দেখবেন অনেক কিছু শিখে ফেলেছেন।

ল্যাপটপ এর স্পেসিয়ালিটি সম্পর্কে জানাঃ

সব ল্যাপটপ বা নোটবুকেই মিডিয়া কঞ্জাম্পশন, গেমিং, নেট সারফিং, স্টাডি ওয়ার্ক করা যায় কিন্তু কোনোটায় পারফরমেন্স কম আবার কোনোটায় বেশি। তাই চলুন প্রথমে জেনে নিই সাধারণত কত ধরনের নোটবুক বা ল্যাপটপ এর দেখা মেলে বাজারে।
১) বিজনেস নোটবুকঃ
এই নোটবুকগুলো সাধারণত অনেক বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম হয় এবং থিন এন্ড লাইট হওয়ায় সহজে বহন করা যায়। এই ল্যাপটপগুলোতে GPU বা গ্রাফিক্স মেমোরি সচরাচর দেখা যায় না কিন্তু এই ক্যাটাগরির প্রতিটা নোটবুকেরি অনেক প্রিমিয়াম লুক থাকে। তাই যারা সারাদিন অনেক ব্যাস্ত থাকেন এবং খুব একটা গেম খেলেন না তাদের জন্য বেস্ট ক্যাটাগরি হল এই ল্যাপটপগুলো। যেমনঃ ACER Swift series, ASUS Zenbook series, HP Envy series ইত্যাদি।
২) প্রোডাক্টিভ টাইপ নোটবুকঃ
এই ধরনের নোটবুকগুলো টাচ স্ক্রিন বা নন টাচ স্ক্রিন দুই ধরনেরই হয়ে থাকে। তবে এগুলোর স্ক্রিন কোয়ালিটি খুবই ভাল হয়। স্ক্রিনের প্যানেল টেকনোলজি, কালার গ্যামিট, ভিউইং অ্যাঙ্গেল একদম প্রিমিয়াম লেভেলের হয় এবং মাঝারি ক্ষমতার GPU বা গ্রাফিক্স মেমোরি থাকায় লাইট ওয়েট গেম এন্ড ভিডিও এডিটিং এর কাজ মোটামুটি ভাল ভাবেই করা যায়। ফটো এডিটিং এবং ইলাস্ট্রেটর এর কাজের জন্য এই ধরনের নোটবুক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক বলা চলে। কারন, এগুলোর স্ক্রিন প্রায় ১০০% এসআরজিবি কালার গ্যামিট সাপোর্ট করে যা একজন প্রোফেশনাল এর জন্য খুবই দরকারি। এগুলোর দামও একটু বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান এ লেনোভো এবং এসার এর অনেক ভাল প্রডাক্টিভ টাইপ ল্যাপটপ সুলভ মূল্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যা আপনি একটু খুজলেই পেয়ে যাবেন। যেমনঃ LENOVO yoga series, HP Spectre series, DELL Xps series ইত্যাদি।
৩) গেমিং নোটবুকঃ
গেমিং ল্যাপটপ হল একমাত্র ডেস্কটপ রিপ্লেসিং টাইপ ল্যাপটপ। এই ধরনের ল্যাপটপগুলো ফুল সাইজ ৪৫ ওয়াট এর প্রসেসর দিয়ে তৈরি হয় যেখানে উপরের দুই ক্যাটাগরির প্রায় সব নোটবুকগুলোই ১৫ ওয়াট এর প্রসেসর দিয়ে তৈরি। তবে গেমিং ল্যাপটপ এর সব থেকে বড় আকর্ষণ হল এর অনেক শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড যা ৪৫ ওয়াট এর প্রসেসর এর সাথে মিলে হাই সেটিংস এ গেম বা 4k ভিডিও এডিটিং এর কাজ অনেক সহজে এবং দ্রুত করে দেয়।
অনেকের একটি ভুল ধারনা থাকে যে গেমিং ল্যাপটপ এ শুধু গেমই খেলা যায়। কিন্তু ধারনাটি ভুল। উপরের ল্যাপটপগুলো যে কাজ করে সেই সব কাজ গেমিং ল্যাপটপও করতে পারে এবং তা করে আরও দ্রুততার সাথে। তাহলে প্রশ্ন হল আমরা সবাই গেমিং ল্যাপটপ কিনলেই তো পারি। শুধু শুধু অন্যান্য ল্যাপটপ কেন কিনব? আসলে এখানেও কিছু ঝামেলা আছে। যেমনঃগেমিং ল্যাপটপগুলোর দাম হয় অনেক বেশি। এগুলো অনেক ভারী হয় ফলে সহজে বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ফুল সাইজ প্রসেসর হওয়ায় এবং ব্যাটারি সাইজ বেশি না হওয়ায় বেশিক্ষন চার্জ থাকে না এবং বেশিরভাগ গেমিং ল্যাপটপ এর স্ক্রিন প্যানেল এর কালার গ্যামিট এবং ভিউইং অ্যাঙ্গেল ভাল হয়না। তবে বাজেটে যদি ৬ অঙ্কের উপরে যাওয়া যায় তাহলে অনেক ভাল স্ক্রিন এর গেমিং ল্যাপটপ পাওয়া যায়। যেমনঃ ASUS Rog series, HP Omen series, MSI Gl series ইত্যাদি।
৪) স্টুডেন্টস নোটবুকঃ
আমাদের সবথেকে পরিচিত এবং প্রিয় ক্যাটাগরি হল এই নোটবুক ক্যাটাগরি। লো বাজেট এবং মিড বাজেট রেঞ্জের সব ল্যাপটপই এই ক্যাটাগরি এর আওতাভুক্ত। এই ল্যাপটপগুলো উপরের সব কাজই মোটামুটিভাবে করতে পারে। এমনকি মিডিয়াম সেটিংস্‌ এ প্রায় সব গেমস খেলা যায় যেসব ল্যাপটপ এ GPU হিসেবে MX150 অথবা 940MX থাকে। স্টুডেন্টসদের সব চাহিদা পূরণের সব গুণাগুণই থাকে এগুলোর। এমনকি কিছু কিছু ল্যাপটপ এর অনেক ভাল স্ক্রিনও থাকে। যেমনঃ HP Pavilion series, LENOVO Ideapad series, ASUS vivobook seris ইত্যাদি।


সামান্য সময় নিয়ে নেট ঘাটাঘাটি করাঃ

তাহলে এখন যেহেতু আমরা ল্যাপটপ এর সাধারন প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছি তো আমাদের প্রয়োজন মাফিক সঠিক ল্যাপটপটি নির্ধারণ করতে পারব নিশ্চয়ই? হ্যাঁ, অন্তত আমাদের কোন ধরনের ল্যাপটপ প্রয়োজন সেটা নির্ধারণ করতে পারব সহজেই।
এখন শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল অনলাইন স্টোরে গিয়ে নিজ নিজ বাজেট রেঞ্জ এর ভেতরে ল্যাপটপগুলোর স্পেসিফিকেশন চেক করে পছন্দের কেটাগরির ল্যাপটপটি খুঁজে বের করা।কাজটি একটু সময় সাপেক্ষ কিন্তু যত বেশি সময় দিব তত ভালভাবে বাছাই করে বাজেট এর মাঝে বেস্ট ল্যাপটপটি খুঁজে বের করতে পারব।এমনকি কম্পেরিজনও করা যায় ল্যাপটপগুলোর মাঝে অনলাইন স্টোরগুলোত।এই ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আমরা সার্চ করে পছন্দের ল্যাপটপটি খুঁজে বের করে ফেলতে পারব সহজেই।যেমন: ryanscomputers.com এবং startech.com.bd


আচ্ছা আমরা যা জানলাম শুধু মাত্র এই কয়েকটা বিষয় জেনেই কি আমরা আমাদের ল্যাপটপ সম্পর্কে সব কনফিউশন দূর করতে পারব এবং কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টটি কিনতে পারব? মোটেই না। আমরা শুধু সাধারন কিছু বিষয় জেনেছি যা একদম বেসিক। কিন্তু আমাদের আরও কিছু কনফিউশন এর জায়গা থেকে যায়।যেমনঃ 


-গ্রাফিক্স কার্ড ৪ জিবি না ২ জিবি?
-শুধু কি ৪ জিবি এবং ২ জিবি হওয়াটাই কি যথেষ্ট ভাল গ্রাফিক্স কার্ড হওয়ার জন্য?
-Core i7 নিব নাকি i5 নিব?
-একটু পাশ থেকে দেখলে স্ক্রিন নেগেটিভ এর মত দেখা যায় কেন?


কষ্টের টাকা দিয়ে পছন্দের ল্যাপটপটি কেনার আগে এমন আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা প্রয়োজন। পরবর্তী আর্টিকেল গুলোতে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।


Writer: Hasibul Haque Rodro
Rodro is a regular and active intern of NBICT LAB. He is a student of the department Electrical and Electronic Engineering of Hajee Mohammad Danesh Science & Technology University.

For any kind of help about choosing your desired notebook feel free to e-mail him at: hhr1016@hotmail.com or ask your questions in the comment box.

Share:

কীভাবে উইন্ডোজ 10 সঠিক পন্থায় ইন্সটল করবেন


কম্পিউটারের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য কোন কোন নিয়মগুলি মেনে চলতে হয় সেগুলি আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি। এই নিয়মগুলো ঠিকঠাক মেনে চলার পরেও যদি উইন্ডোজ সমস্যা করে তবে উইন্ডোজ রিসেট বা ফুল অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইন্সটল করতে হবে।
ফুল অপারেটিং সিস্টেম (উইন্ডোজ) ইন্সটল করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুনঃ
১। বাজার থেকে মাত্র ৩০ টাকায় উইন্ডোজ 10 এর ডিভিডি সংগ্রহ করুন। ডিভিডি-র প্যাকেটে উইন্ডোজ 10, প্রফেশনাল, 64 বিট, Auto activated এই শব্দগুলো আছে কিনা দেখে নিন।
২। ল্যাপ্টপ/কম্পিউটার চালু করুন। ডেস্কটপ, ডকুমেন্টস, ডাউনলোডস, সি ড্রাইভ ইত্যাদি যায়গায় কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন।
৩। ডিস্ক সিস্টেমে প্রবেশ করিয়ে দিন এবং সিস্টেম ডিস্ক না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪। পিসি রিস্টার্ট করুন। স্ক্রিন থেকে যখন Restarting... কথাটা চলে যাবে তখন বুট মেনুর জন্য সংশ্লিষ্ট কী চাপতে থাকুন।
- HP এর জন্য Esc চাপুন। তারপর F9 চাপুন।
- Asus এর জন্য F2/F8 চাপুন। তারপর Boot Priority তে Boot from CD/DVD অপশন টপে নিয়ে যান। তারপর Save and exit করে রিস্টার্ট করুন।
৫। "Press any key to boot from CD/DVD" এরকম বার্তা আসলে Enter কী চাপুন।
৬। ল্যাঙ্গুয়েজ, টাইম, ইনপুট মেথড ডিফল্ট রেখে Next এ ক্লিক করুন।
৭। Install now বাটনে ক্লিক করুন।
৮। "Set up is starting" বার্তা আসবে।
৯। লাইসেন্স টার্ম একসেপ্ট করে Next করুন।
১০। "Which type of installation do you want?" বার্তা আসবে। " Custom: Install Windows only (advanced)" এ ক্লিক করুন।
১১। "Where do you want to install Windows?" বার্তা আসবে। উপযুক্ত পার্টিশন বুঝে সিলেক্ট করুন। না বুঝলে আমাদের সাহায্য নিন।
- উপযুক্ত পার্টিশন সিলেক্ট করার পর যদি নিচের দিকে বার্তা দেখায় যে - Windows can't be installed on drive.. partition... তবে ঐ লেখাটির উপর ক্লিক করুন।
- "Windows cannot be installed to this disk. The selected disk is of the GPT partition style." এরকম বার্তা আসলে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন। বলে নিচ্চি এই পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আপনার কম্পিউটারে কোন ফাইল কিন্তু থাকবে না।
- "The selected disk is of the GPT partition style." বার্তাটি যখন দেখাবে তখন Shift+F10 কী চাপুন।
- একটি কমান্ড প্রম্‌ট আসবে। এখানে diskpart কথাটি লিখে এন্টার চাপুন।
- তারপর list disk কথাটি লিখে দিয়ে এন্টার দিন। ডিস্কগুলোর লিস্ট দেখাবে।
- select disk # কথাটি লিখে দিয়ে এন্টার দিন। '#' চিহ্নটিকে ডিস্ক নাম্বার দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।
- clean কথাটি লিখে দিন এবং এন্টার দিন। এই সময়ে আপনার কম্পিউটারের সমস্ত ফাইল হারিয়ে যাবে।
- "DiskPart succeeded in cleaning the disk" বার্তা আসলে convert mbr কথাটি লিখে দিয়ে এন্টার দিন।
- "DiskPart successfully converted selected disk to MBR format" বার্তাটি আসলে উইন্ডোটি ক্লোজ করে দিন।
- "The selected disk is of the GPT partition style." বার্তাটি ক্লোজ করে দিন।
- Windows Setup উইন্ডোটি Refresh করুন।
- এবার আপনার হার্ডডিস্কের Partition গুলো তৈরি করে নিন।
১২। উপযুক্ত Partition সিলেক্ট করে Next করুন।
১৩। উইন্ডোজ ইন্সটল হওয়া শুরু হবে। এই অবস্থায় আপনার পিসি কয়েকবার আপনা আপনি রিস্টার্ট নেবে।
১৪। উইন্ডোজ ইন্সটল হয়ে গেলে Cortana আপনাকে বার্তা দেওয়া শুরু করবে।
১৫। Cortana কে প্রয়োজনীয় সেটিংসগুলো দিয়ে দিন।
১৬। পিসির একটি ইউজার নেম দিয়ে নেক্সট করুন।
১৭। একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে নেক্সট করুন।
১৮। Cortana কে পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে গ্রহণ বা বর্জন করুন।
১৯। প্রাইভেসি সেটিংসগুলো একসেপ্ট করুন।
২০। উইন্ডোজ প্রিপেয়ার হবে। প্রিপেয়ার হলে আপনাকে ডেস্কটপে নিয়ে যাবে।
এবার বাকি নিয়মগুলো অনুসরণ করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://www.nbict.org/2018/08/blog-post.html
Share:

Windows cannot be installed on a GPT partition style - বার্তাটি পেলে যা করবেন


উইন্ডোজ ইন্সটল করার সময় নিচের ছবির মতো বার্তা পেলে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করুনঃ


১। "Windows cannot be installed to this disk. The selected disk is of the GPT partition style." এরকম বার্তা আসলে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করুন। বলে নিচ্চি এই পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আপনার কম্পিউটারে কোন ফাইল কিন্তু থাকবে না।
২। "The selected disk is of the GPT partition style." বার্তাটি যখন দেখাবে তখন Shift+F10 কী চাপুন।
৩। একটি কমান্ড প্রম্‌ট আসবে। এখানে diskpart কথাটি লিখে এন্টার চাপুন।
৪। তারপর list disk কথাটি লিখে দিয়ে এন্টার দিন। ডিস্কগুলোর লিস্ট দেখাবে।
৫। select disk # কথাটি লিখে দিয়ে এন্টার দিন। '#' চিহ্নটিকে ডিস্ক নাম্বার দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।
৬। clean কথাটি লিখে দিন এবং এন্টার দিন। এই সময়ে আপনার কম্পিউটারের সমস্ত ফাইল হারিয়ে যাবে।
৭। "DiskPart succeeded in cleaning the disk" বার্তা আসলে convert mbr কথাটি লিখে দিয়ে এন্টার দিন।
৮। "DiskPart successfully converted selected disk to MBR format" বার্তাটি আসলে উইন্ডোটি ক্লোজ করে দিন।
৯। "The selected disk is of the GPT partition style." বার্তাটি ক্লোজ করে দিন।
১০। Windows Setup উইন্ডোটি Refresh করুন।
১১। এবার আপনার হার্ডডিস্কের Partition গুলো তৈরি করে নিন।
Share:

কম্পিউটারের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য যে নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি

কম্পিউটারের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলুনঃ

১। কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ক্লিন রাখুন। ক্লিন রাখার জন্য আপনি CCleaner সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। কম্পিউটার ব্যবহার শেষে শাট ডাউন এর পূর্বে CCleaner চালিয়ে নিন।

২। সপ্তাহে অন্তত একবার Disk Defragment and Optimization এর কাজ করুন।

৩। এন্টিভাইরাস আপডেট রাখুন। ফ্রি অ্যাভাস্ট ব্যবহার করতে পারেন। একাধিক এন্টিভাইরাস ইন্সটল থেকে বিরত থাকুন। পেনড্রাইভে ম্যালওয়্যার থাকলে এন্টিভাইরাস দিয়ে তা স্ক্যান করে নিন। দশ দিনে অন্তত একবার এন্টিভাইরাস দিয়ে কম্পিউটার ফুল স্ক্যান করে নিন।

৪। এক সঙ্গে তিনের অধিক অ্যাপ্লিকেশন না চালানোর চেষ্টা করবেন। কম্পিউটার সবসময় ম্যানুয়ালি শাট ডাউন করুন।

৫। ডেস্কটপে অতিরিক্ত ফাইল বা ফোল্ডার রাখবেন না।

৬। উন্ডোজকে নিয়মিত হালনাগাদ রাখুন।

৮। উইন্ডোজকে অ্যাক্টিভেটেড রাখুন। অ্যাক্টিভেট করার জন্য KMSPico আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করুন।

৯। অপ্রয়োজনীয় স্টার্টআপ অ্যাপ্লিকেশন Disable করে দিন।

১০। উইন্ডোজের লাইভ টাইলগুলো অফ্‌ করে দিন। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন/সফটওয়্যার আনইন্সটল করে দিন।

১১। গ্রাফিক্স ড্রাইভার সহ প্রয়োজনীয় ড্রাইভারগুলো ইন্সটল রাখুন।

১২। পিসিতে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল থেকে বিরত থাকুন।

Share:

কীভাবে শিখবেন ভিডিও এডিটিং?


লেখক -
মোঃ নাজমুল হাসান সোহান
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর
NBICT.ORG


ভিডিও এডিটিং হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে একজন এডিটর অনেকগুলো ছোট ছোট ভিডিও ফুটেজকে পছন্দশীল ভাবে ঢেলে সাজিয়ে একটি পরিপূর্ণ গল্প ফুটিয়ে তোলেন।

যে কাজগুলো করার নির্দেশনা ভিডিও এডিটিং এ থাকে সেগুলি হলঃ

1. Correction,
2. Organization,
3. Modifications, and
4. Accuracy 

ভিডিও এডিটিং হচ্ছে একটি পোস্ট প্রোডাকশন কাজ। যেখানে ভিডিওর টাইটেল, গ্রাফিক্স, কালার কারেকশন, সাউন্ড মিক্সিং, ইফেক্ট সহ সব ধরণের কাজ করা হয়।

বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজকে সুবিন্যাস এবং সুনিপুণ করে উপস্থাপণ করাই হল ভিডিও এডিটিং এর উদ্দেশ্য। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন অনুষ্ঠান, বিভিন্ন বিজ্ঞাপণ নিমার্ণের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে ব্যক্তিজীবনের প্রতিটা অংশে এখন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভিডিও এডিটিং অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

কেন ভিডিও এডিটিং প্রয়োজন?



যে কারণগুলোর জন্য আমাদের ভিডিও এডিটিং করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় সেগুলো হলঃ

১) অপ্রয়োজনীয় ফুটেজ বাদ দেয়া :

ভিডিও এডিটিং এর একটি অপরিহার্য কাজ হচ্ছে ভিডিও ফুটেজের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোকে বাদ দেয়া। ভিডিওতে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে এডিটিং এর সাহায্যে খুব সহজেই কাজটি আরও সহজ ও সুন্দর করা সম্ভব।

২) ভাল ফুটেজগুলোকে আলাদা করা :

ভিডিও শুট করার পর ভাল এবং প্রয়োজনীয় ফুটেজগুলোকে আলাদা করে রাখতে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে হয়। তার জন্য গল্পের সাথে মিলিয়ে ফুটেজগুলোকে প্রয়োজন অনুসারে এডিটিং এর জন্য সাজিয়ে রাখা যায়।

৩) ভিডিওতে গ্রাফিক্স ও মিউজিক যোগ করা :

ভিডিও এডিটিং এর এই অংশটি ভিডিওতে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। গ্রাফিক্স ও মিউজিক যোগ করে ভিডিওকে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে তোলা যায় । যার ফলে দর্শক আকৃষ্ট হয়।

৪) ভিডিওতে ভিজুয়্যাল ইফেক্ট ও সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করা:

ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে মিল রেখে  সাউন্ড ইফেক্ট এবং বিভিন্ন ভিজুয়াল ইফেক্ট ব্যাবহার করে ভিডিওকে আরও বেশি প্রাণবন্ত এবং আকর্ষনীয় করে তোলা সম্ভব।

৫) ভিডিও দ্বারা একটি নির্দিষ্ট ঘটনা বোঝানো :

কোন ধরনের ধারাভাষ্য বা লেখা ছাড়াই ভিডিও ব্যবহার করে দক্ষতার সাহায্যে কোন ঘটনা দর্শককে পরিপূর্ণভাবে বোঝানো যায়। বিশেষ করে যারা শব্দ শুনতে পারে না তাঁদের জন্য এটি অনেক কার্যকরী।

৬) অন্যান্যঃ

১। ভালো ভিডিও এডিটিং বিষয়বস্তুকে শিল্পগুণসম্পন্ন করে উপস্থাপন করে।
২। দর্শককে বিরক্তির হাত থেকে বাচানো যায়।
৩। বক্তব্য বা মতামতকে সূচারু এবং নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা যায়।
৪। ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে টাকা আয় করার মাধ্যমে পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারবেন। যা একটি অসচ্ছল পরিবারের দুঃখের দিন ফুরিয়ে সবার মুখে সুখের হাসি এনে দিতে পারে।

কিভাবে শিখবেন ভিডিও এডিটিং?



ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য যা আবশ্যক তা হলোঃ

১। কাজকে ভালবেসে কাজের সাথে লেগে থাকতে হবে।
২। ধৈর্য্যশীলতা বজায় রাখতে হবে।
৩। মনোযোগী হতে হবে।
৪। সর্বোপরি সৃজনশীল চিন্তাধারা থাকতে হবে।

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার রয়েছে। যেকোন একটা দিয়েই শেখা যাবে। তবে যে বিষয়গুলো ভাবতে হবে তা হলোঃ

উচ্চমানের ভিডিও এডিটিং এর জন্য বিশেষ হার্ডওয়্যার প্রয়োজন। Adobe Premiere Pro সফটওয়্যারটি ভিডিও এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার। এটা খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও আপনি Filmora Video Editor কিংবা Corel VideoStudio ব্যবহার করতে পারেন। নিজের ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার থাকলে দ্রুত ভিডিও এডিটিং শেখার রাস্তা পরিষ্কার । তাছাড়া ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট থাকা দরকার। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাহায্য নিলে বা টিউটোরিয়াল দেখলে তা ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য অনেক বড় সহায়ক হবে।

এডোবি প্রিমিয়ার প্রো সি সি ২০১৫ ইন্টারফেস


ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য নিচে ৫ টি সেরা অনলাইন সোর্স এর তালিকা দেওয়া হলো যা থেকে উপকৃত হতে পারেনঃ 


TOP 5 WEBSITES:

1. Filmora Video Editor

যারা একদম নতুন কিংবা যাদের আরো বিশতভাবে জানার আগ্রহ আছে তাদের জন্য Filmora একটি উপযুক্ত YouTube Channel। এই চ্যানেলটির মাধ্যমে অতি সহজেই ভিডিও এডিটিং শেখা যায়।

ভিডিও এডিটিং টিপস, ক্যামেরা ট্রিকস, DSLR Filmmaking Technique নিয়ে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এই Filmora YouTube Channel এ পাওয়া যায়। ২০১৫ সাল থেকে এর যাত্রা শুরু হয়। এখানে সাধারণত সপ্তাহে ২ টি করে টিউটোরিয়াল পোষ্ট হয়।

2. tutvid.com | Video Editing

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য tutvid.com/video-editing এটি একটি সহায়ক মাধ্যম। এখানে বিভিন্ন টিউটোরিয়ালের সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই ভিডিও এডিটিং শেখা যাবে। এখানে সপ্তাহে ১ টি করে টিউটোরিয়াল শেয়ার করা হয়।

3. VideoEditingSage.com

ভিডিও নিমার্ণের জন্য খুব সহজ এবং বোধগম্য দিকনির্দেশনা VideoEditingSage.com ব্লগে পাওয়া যায়। এই ব্লগের সাহায্য নিয়ে একাই ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে পারবেন যে কেউ। প্রতি সপ্তাহে শেয়ারকৃত টিউটোরিয়ালের সাহায্যে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

4. Corel VideoStudio | Youtube

Corel videoStudio দ্রুত এবং সহজে ভিডিও তৈরী করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি অফার করে। উন্নতমানের ভিডিও তৈরি করতে নানাবিধ সমস্যার আদর্শ সমাধান এখানে পাওয়া যায়। এখানে প্রতি মাসে ৩ টি করে ভিডিও শেয়ার করা হয়।

5. Film Editing Pro

Film Editing Pro একটি অনলাইন রিসোর্স যেখানে ভিডিও এডিটিং এর প্রত্যেকটা ধাপ বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। প্রতি পোষ্টে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে।

এছাড়া অনেক Website কিংবা Blog রয়েছে যার সাহায্য নিয়ে খুব সহজেই ভিডিও এডিটিং শেখা যেতে পারে। এখন ভিডিও এডিটিং এর উপর অনেক YouTube Channel রয়েছে যা আমাদের সহায়ক হতে পারে। কিছু website ও  Blogs উল্লেখ করা হলঃ

১। Cinecom.net

২। Orange83

৩। RocketStock | Video Editing

৪। Envato Tuts | Video Editing Tutorials

৫। Premiere Gal

৬। Philip Bloom

৭। Reddit | Video Editing Tutorials

তাছাড়া যেকোন সমস্যার জন্য আমদের টিম এর সাহায্য নিতে পারেন। আমাদের প্রফেশনাল ট্রেইনারদের মাধ্যমে NBICT.ORG থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণও নিতে পারেন আপনি। বর্তমানে এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে। আপনি এই প্রতিষ্ঠানের একজন মেম্বার হলে কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

10minute School সহ বিভিন্ন YouTube Channel রয়েছে যেখান থেকে খুব সহজেই বাংলা টিউটোরিয়ালের সাহায্যে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন।

বোনাসঃ

ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে গেলে আমাদের প্রায়ই কপিরাইট ফ্রি মিউজিক, ফুটেজ ও বিভিন্ন ধরনের শব্দের প্রয়োজন হয়। এখানে আমরা কতগুলো ওয়েবসাইটের তালিকা দিলাম যেখান থেকে আপনি এগুলো বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

১। https://www.bensound.com/
২। https://soundcloud.com/
৩। https://freesound.org/
৪। https://www.videvo.net/
৫। https://videos.pexels.com/
৬। https://pixabay.com/
৭। http://www.orangefreesounds.com/



Share:

জীবন সৃষ্টির রহস্য

সব জায়গাতেই বিতর্ক থাকে। পৃথিবীর বয়স যখন এক লক্ষ কোটি বছর চলছিল তখন এর অবস্থাটা কেমন ছিল? এই প্রশ্নেরও বিতর্কিত জবাব রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় পৃথিবীপৃষ্ঠ কি গলিত ছিল? তখন বায়ু মণ্ডলে কি অ্যামোনিয়া কিংবা মিথেনের মতো কোন গ্যাসের উপস্থিতি ছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরও বিজ্ঞানীরা একই প্ল্যাটফর্মে দাঁর করাতে পারেননি। 

কিন্তু যাই হোক না কেন, কিছু বিষয়ে পণ্ডিতেরা এক মত হয়েছেন। যেমন সকলেই এই বিষয়গুলোতে এক মত যে, পৃথিবী তার প্রাথমিক সময়ে স্থিতিশীল ছিল না। সর্বত্র আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যুৎপাত ছিল। বজ্রপাতের আধিক্য ছিল। মুষল ধারায় বৃষ্টি হত তখন। আজকের দিনে যেমন সূর্য অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণ করে, তখনকার দিন গুলিতেও সেই অবস্থা ছিল। সেই রশ্মিকে আমাদের বর্তমান পৃথিবী কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করে ওজন স্তরের সাহায্যে। এই ওজন স্তরের অস্তিত্ব প্রাক-পৃথিবীতে ছিল না। সুতরাং, অতিবেগুনী রশ্মি সরাসরি পৃথিবী পৃষ্ঠে এসে পড়ত। আর তখন বায়ু মণ্ডলে মুক্ত অক্সিজেনের মাত্রা ছিল খুবই কম। এটা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অজানা নয় যে অতিবেগুনী রশ্মির আলোক রাসায়নিক শক্তি রয়েছে। এই শক্তি অণুকে বিক্রিয়ারত অবস্থায় থাকতে সহায়তা দেয়। এ ধরণের অবস্থা রাসায়নিক সাম্যাবস্থাকে ব্যাহত করে। অর্থাৎ, শুরুর দিকের অস্থিতিশীল পৃথিবীর জন্য দায়ী অতিবেগুনী রশ্মি। 

ছোট্ট এবং সাধারণ জৈব অণুগুলি এরকম পরিস্থিতিতেই সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এর সত্যতা কোথায়? বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে এর সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা কি পরীক্ষা করেছেন পরীক্ষাগারে? যদি CO2, CH4, NH3এবং H2 এই গ্যাসগুলোকে একত্রে মিশ্রিত করে উত্তপ্ত করা যায় এবং একই সাথে এর মধ্য দিয়ে যদি অতি বেগুনী রশ্মি প্রবাহিত করা যায় তাহলে অণুগুলো বিক্রিয়া করবে। বিক্রিয়ার ফলাফল সম্পর্কে ধারণা করতে পারছেন কি? 

বিক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে তৈরি হবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জৈব অণু! যাদের মধ্যে অন্যতম দুটি জৈব অণুর নাম হচ্ছে হাইড্রোজেন সায়ানাইড(HCN) এবং ফরমালডিহাইড(HCHO)। জলীয় দ্রবণে এই দুটি যৌগ তাদের বিক্রিয়া অব্যাহত রাখে। তারপর এর ফলশ্রুতিটা কি দারায়? চূড়ান্ত পর্যায়ে এমন কতগুলো যৌগ তৈরি হয় যাদের সমন্বয় ছাড়া জৈব কোষের গঠন অচিন্তনীয়। সেই গুরুত্বপূর্ণ যৌগগুলি হচ্ছে অ্যামিনো এসিড, সুগার, পিউরিন এবং পাইরিমিডিন। এই পিউরিন ও পাইরিমিডিনই নিউক্লিয়টাইডের পূর্বশর্ত। আর এই নিউক্লিয়টাইড ছাড়া জীবের বংশগতির গাঠনিক ও কার্যীক একক ডিএনএ তথা জিনের কথা অকল্পনীয়!

এই যে পরীক্ষাটি করা হল, এর তাৎপর্য কী? এরকম পরীক্ষণ অব্যাহত রেখে মানুষ কি সৃষ্টির শুরুটা অবলোকন করতে পারবে? চলে যেতে পারবে কি সেই যুগে? কিংবা পারবে কি সেই যুগে তৈরি হওয়া সর্ব প্রথম জীবটির অণুলিপি তৈরি করতে? সবগুলো প্রশ্নের একটাই উত্তর, না, এ সম্ভব নয়। কিন্তু এটা আমরা ইতোমধ্যেই জেনে গেছি যে জৈব অণু তৈরি করা আশ্চর্য রকমের সহজ কাজ। 

জীব কোষ সমূহ যে সকল অণু বা যৌগ নিয়ে গঠিত তাদের গঠন নিশ্চয়ই অনেক জটিল। জটিল যৌগ সমূহ জটিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়। বিক্রিয়ার পরিবেশ রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলার জন্য দায়ী। বিক্রিয়ার পরিবেশ যখন বিক্রিয়ারত অণু বা পরমাণু গুলোকে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে তখন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে। যেমন, বাদী বা বিবাদীর যখন কেউই চায় না যে মামলার নিষ্পত্তি হোক কিংবা তৃতীয় কেউ যদি এ ব্যাপারে ইন্ধন যোগায় তাহলে মামলার সমাধান টানা নিশ্চয়ই অনেক জটিল হয়। সাম্যাবস্থাহীন রাসায়নিক বিক্রিয়া অনেকটা এরকমই হয়।

দুই একটি সাদামাটা জৈব অণুর নাম বলতে পারবেন কি? অ্যামিনো এসিড সমূহকে একেবারেই সাধারণ জৈব অণু বলা যেতে পারে। এর কাতারে নিউক্লিয়টাইড সমুহকেও ফেলান যায়। এই সাধারণ জৈব অণু সমূহ একীভূত হয়ে পলিমার বা বড় ধরণের অণু তৈরির সক্ষমতা রাখে। এই অ্যাসোসিয়েশন তখন কিন্তু আর সাধারণ থাকে না। তখন তারা অসাধারণ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সুতরাং জৈব অণু বলেন আর মানুষ-পশু-পক্ষী বলেন সবার পলিমারিজমে যাওয়ার উদ্দেশ্য একটাই, আর তা হল শক্তিশালী হয়ে ওঠা।

একটি অ্যামিনো এসিড অপর একটি অ্যামিনো এসিডের সাথে যুক্ত হয় পেপটাইড বন্ড বা বন্ধন দ্বারা। অপরদিকে দুটো নিউক্লিয়টাইড পরস্পরের সাথে যে বন্ধন দ্বারা যুক্ত হয় তার নাম ফসফোডায়েস্টার বন্ড। পেপটাইড বন্ডের বাড়াবাড়ি পলিপেপটাইড সৃষ্টির জন্য আর ফসফোডায়েস্টার বন্ডের বাড়াবাড়ি পলিনিউক্লিয়টাইড সৃষ্টির জন্য দায়ী। আজকের দিনে জৈব অণুর বড় বড় লম্বা লম্বা পলিপেপটাইড গুলোকে প্রোটিন বা আমিষ নামে ডাকা হয়। অপরদিকে বড় বড় পলিনিউক্লিয়টাইড গুলোর ভূমিকা আর কার্যকারিতা দুইই অভাবনীয়। আরএনএ, ডিএনএ তথা জীবের বংশগতির ধারক ও বাহক সমূহের গল্প এই লম্বা লম্বা পলিনিউক্লিয়টাইডগুলোই তৈরি করে। অত্যাবশ্যকীয় ২০টি অ্যামিনো এসিডের দ্বারা যেকোনো ধরণের প্রোটিন গঠিত হয়। অর্থাৎ যে কোন ধরণের প্রোটিনের গঠনের জন্য ২০ ধরণের অ্যামিনো এসিডের অবশ্যই প্রয়োজন হয়। আর অপর পক্ষে ডিএনএ ও আরএনএ এর প্রত্যেকেই গঠিত হয় শুধু মাত্র চার ধরণের নিউক্লিয়টাইড দ্বারা। জৈব অণু সমূহ সৃষ্টির জন্য এ সকল মনোমার বা একক অণু সমূহকে অন্যান্য অণুগুলোর থেকে কেন বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরটা কিন্তু নিশ্চিত ভাবে দেয়া যায় না। কিন্তু আমরা উক্ত পলিমারগুলোর ভূমিকা কী, কোষে এগুলো কী ধরণের তাৎপর্য রাখে এই প্রশ্নগুলো যখন বিশ্লেষণ করতে পারবো তখন তাদের বিশেষ বিশেষ কার্যকারিতাগুলো আমাদের চোখে পড়বে। আর তখনই আমরা তাদের গুরুত্বের প্রশ্নের উপলব্ধিটা ঠিকই করতে পারবো। 

জীবন সৃষ্টির প্রাক্বালে পলিমারগুলো কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল সে বিষয়ে বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন পথের কথা চিন্তা করেছেন। যেমন এটা পানি শূন্য জৈব যৌগের তাপ প্রাপ্তির মাধ্যমে হতে পারে। কিংবা হতে পারে অজৈব ফসফেটগুলোর ক্যাটালাইটিক অ্যাক্টিভিটির প্রভাবের ফলে। একটি পলিমার যখন সৃষ্টি হয়ে যায় তখন এটি তার পরবর্তী বিক্রিয়াগুলোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে কেননা এটি তখন নিজেই ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করে।

জীবনের উৎপত্তির জন্য বিশেষ কিছু অণুর বিন্যাসের প্রয়োজন। বিশেষ অণুগুলোকে আবার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হয়। এই বিশেষ অণুগুলোকে খুব সামান্য হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করতে হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হতে পারে বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা এবং এটি এমন এক ধরণের ক্ষমতা যেই ক্ষমতা বলে সেই অণু নিজেই নিজের প্রতিরুপ সৃষ্টি করতে পারে। শুরুতে ক্যাটালিস্টগুলোর এই বিশেষ ধরণের স্ব-উৎপাদন প্রক্রিয়া আনুকূল্য পেয়ে থাকবে। এখানে এমন কতগুলো ক্যাটালিস্টও থাকতে পারে যারা কড়াকড়িভাবে নিজস্ব প্রতিরুপ সৃষ্টিতে নিযুক্ত থাকতে পারে। যাদের কিনা এই বিশেষ ধর্ম অন্যান্য অব্যবহৃত অণুগুলোর ভিন্ন পদার্থ সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এভাবে আপনি আপনার কল্পনার জগতে ক্রমবর্ধমান জটিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ছবি আঁকতে পারেন। যে প্রক্রিয়ার টার্গেট হবে প্রথমে জৈব মনোমার ও পরে জৈব পলিমার তৈরি। আর এই পলিমারগুলোর কাজ হবে পরস্পরের সাথে বিশেষ কার্যক্রমে জড়িয়ে যাওয়া, যেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওরা একই ধরণের আরও নতুন অণুর সৃষ্টি করবে। সমস্ত প্রক্রিয়াটি শক্তি লাভ করবে পরিবেশ থেকে। এতক্ষণে আমরা সমগ্র প্রক্রিয়াটির একটা নামকরণ করতে পারি। ধরুন, আমি এটার নাম দিলাম "অটোক্যাটালাইটিক সিস্টেম"। এই অটোক্যাটালাইটিক সিস্টেম'টি জীবন্ত কোন বস্তুর ন্যায় কিছু ধর্ম বহন করতে পারে। যেমন, এটি পুনরুৎপাদনের ক্ষমতা রাখতে পারে, এটি অন্য একই প্রকার সিস্টেমের সাথে শক্তির উৎসের জন্য প্রতিযোগিতা করতে পারে, এমনকি এটি যদি শক্তি থেকে বঞ্চিত হয় কিংবা যদি ভুল তাপমাত্রায় চলে যায় তাহলে বিক্রিয়ার হারের ভারসাম্য রক্ষা নাও হতে পারে, এটি ধীরে ধীরে রাসায়নিক সাম্যাবস্থায় পরিক্ষয় হতে পারে এবং "নিঃশেষ" হয়ে যেতে পারে। 

কিন্তু সেই সময়ে কোন কোন অণুগুলো অটোক্যাটালাইটিক ধর্ম ধারণ করেছিল? পলিপেপটাইডগুলো আজকের দিনে জৈব কোষের সব থেকে বহুমুখী ক্যাটালিস্ট। এই পলিপেপটাইডগুলো যে বিভিন্ন ধরণের অনেকগুলো অ্যামিনো এসিড দ্বারা গঠিত সেটা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। এই অ্যামিনো এসিডগুলোর নানা ধরণের রাসায়নিক পার্শ্ব শিকল রয়েছে। একই সাথে এই অ্যামিনো এসিডগুলো বিভিন্ন ধরণের ত্রিমাত্রিক গঠন লাভ করতে পারে। এই ত্রিমাত্রিক গঠন কোন সক্রিয় প্রান্তের দিকে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদিও পলিপেপটাইডগুলো প্রভাবক হিসেবে বহুমুখী, কোন্‌ সরাসরি সুনির্দিষ্ট উপায়ে এই অণুগুলোর একটি তার অনুরুপ সিকোয়েন্সের আরেকটি অনুরুপ অণু সৃষ্টি করবে সেই পথ আজও অজানা রয়েছে।
Share:

Why NBICT LAB?

We work on -
1. Data Science & Machine Learning;
2. Microsoft Office Applications;
3. 3D Computer Graphics & Animation;
4. Graphic Design & Multimedia;
5. Website Design & Development;
6. Research & Data Analysis;
7. Training.

Contact Us

Name

Email *

Message *

Our News