কেমন হবে আমাদের ভবিষ্যতের যানবাহনগুলো?

আমরা কি ভেবে দেখেছি যে আমাদের ভবিষ্যতের যানবাহনগুলো কেমন হতে যাচ্ছে? “ম্যাকগাইভার” কিংবা সাই-ফাই (Science Fiction) মুভিগুলোতে যে ভবিষ্যতের গাড়িগুলো দেখি সেগুলো কি আদৌ সম্ভব? হলেও সেটা কবে নাগাদ? একটু খোঁজ করলেই আমরা জানতে পারবো যে অটো-মবিল প্রতিষ্ঠানগুলো সেই পথেই যাচ্ছে।

ছবিঃ Volkswager ID3; যেটিকে আগামী দশকের সেরা গাড়ি গণ্য করা হচ্ছে

জ্বালানী গ্রহণ এবং এর ফলে CO2 নির্গমনের ফলে গতানুগতিক গাড়িগুলি পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা বায়ু দূষণের সৃষ্টি করে। এই নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে জলবায়ু পরিবর্তন আইন ২০০৮ চালু করা হয়েছিল। হাইব্রিড অর্থাৎ জ্বালানী এবং ব্যাটারি এর মিশ্রণ সমৃদ্ধ যানবাহনগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে নির্গমন হ্রাস করলেও CO2 নির্গমন এর হার প্রয়োজন মোতাবেক নিম্নগামী নয়। এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন CO2 নির্গমন লক্ষমাত্রা অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে, ইউরোপের নতুন গাড়িগুলির জন্য CO2 গড় নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা হবে ৯৫ গ্রাম  CO2  / কিমি। এই লক্ষমাত্রা যদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্জন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে গুনতে হবে অনেক টাকা জরিমানা এবং একটা সময় গিয়ে হয়ত ব্যাবসায়িক লাইসেন্স বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

আমরা অনেকেই হয়ত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান “Tesla” এর নাম জানি। “Tesla” পৃথিবীর একমাত্র গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যারা সর্বপ্রথম “ইলেকট্রিক গাড়ি” পরিপূর্ণভাবে বাজারজাত করা শুরু করে যেগুলো পুরোপুরি ব্যাটারি দিয়ে চালিত হয়। ইন্টারেস্টিং, তাইনা? হ্যাঁ বিষয়টা আসলেই অনেক ইন্টারেস্টিং। এধরনের গারিগুলো আরও ইন্টারেস্টিং যদি আমরা এদের সুবিধাগুলোর দিকে একটু নজর দিই। বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলো গ্রিড থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুত শক্তি ব্যাটারি এর মাধ্যমে স্টোর করে মূল শক্তির 77% আউটপুট দিতে সক্ষম যেখানে প্রচলিত পেট্রোল যানবাহনগুলি কেবলমাত্র মূলশক্তির 12% থেকে 30% শক্তি আউটপুট দিতে সক্ষম।

মিশিগান পরিবহন গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি চালনা করতে গ্যাস চালিত গাড়ি থেকে অর্ধেকেরও কম ব্যয় হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ইভি(বৈদ্যুতিক গাড়ি) পরিচালনার জন্য প্রতি বছর গড়ে বাংলাদেশি টাকায় ৪১০০০ টাকা ব্যয় হয় , অন্যদিকে পেট্রোল চালিত গাড়ির গড় ব্যয় প্রায় ৯৪০০০ টাকা। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো প্রায় ০%  CO2 নিঃসরণ করে। ফ্রান্স, নরওয়ে, জার্মানি, ইউ কে সহ ইউরোপের প্রায় সব দেশই বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার্জিং পয়েন্টের প্রতুলতায় সয়ংসম্পন্ন হওয়ার টার্গেট গ্রহন করেছে। এশিয়া মহাদেশে চায়না, জাপান এবং দক্ষিন করিয়া এই প্রতিযোগিতায় অনেক এগিয়ে আছে। চায়নায় পৃথিবীর সবথেকে বেশি সংখ্যক ইলেকট্রিক গাড়ি রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিন কোরিয়াতে সর্বাধিক ফাস্ট চার্জার রয়েছে ইলেকট্রিক গাড়িগুলোকে রিচার্জ করার জন্য। অবাক করা বিষয় হল আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও অনেকগুলো ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন রয়েছে ইলেকট্রিক গাড়ির পাশাপাশি।

বর্তমানে প্রায় সবগুলো নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই পরিপূর্ণ ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারজাতকরণের চেষ্টা করছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান “Volkswagen” তাদের প্রথম পরিপূর্ণ ইলেকট্রিক গাড়ি ২০২১ সাল থেকে বাজারজাতকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি হতে পারে এই দশকের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি যা কিনা মানুষকে ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যাবহার এ অনুপ্রানিত করার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। 


Writer: Hasibul Haque Rodro
Rodro is a regular and active intern at NBICT LAB. He is a student of the department Electrical and Electronic Engineering of Hajee Mohammad Danesh Science & Technology University.

For any kind of feedback or support feel free to e-mail him at rodro.haque1016@gmail.com or ask your questions in the comment box.
Share:

Why NBICT LAB?

We work on -
1. Data Science & Machine Learning;
2. Microsoft Office Applications;
3. 3D Computer Graphics & Animation;
4. Graphic Design & Multimedia;
5. Website Design & Development;
6. Research & Data Analysis;
7. Training.

Contact Us

Name

Email *

Message *

Our News