গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরী

ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অংশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল এই গ্রাফিক্স কার্ড। একে নিয়েই আমাদের যত জল্পনা কল্পনা। কার কম্পিউটারে এটি উপস্থিত কার কম্পিউটারে অনুপস্থিত। এর আকার কত জিবি। এর নির্মাতা কোম্পানি কোনটি? এগুলোই আমরা ভাবি ল্যাপটপ কেনার অথবা ডেস্কটপ বানানোর আগে। অনেকেই আবার এই বিষয়টার সাথে একদমই অপরিচিত। পরিচয় থাকুক বা না থাকুক গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে অবশ্যই আমাদের ভেবে দেখা উচিত আমাদের প্রয়োজন এবং বাজেট এর প্রতুলতার কথা। কারন অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় আবার অনেকের কাছে খুব প্রয়োজনীয় এই জিনিসটির মূল্য মোটেই কম নয়। এবং প্রয়োজন মাফিক সঠিক গ্রাফিক্স কার্ডটি সিলেক্ট করাও একটি চ্যাঁলেঞ্জিং বিষয় কারণ বাজারে অনেক মডেলের অনেক গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। সেই চ্যাঁলেঞ্জিং কাজটিকে সহজ করে দেওয়ার প্রচেষ্টাই করা হবে এই আর্টিকেলটিতে। শুরু করা যাক তাহলে:

গ্রাফিক্স কার্ড কি?

আমরা মনিটর এ যা দেখি সেগুলো তৈরি হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু দিয়ে যেগুলোকে বলা হয় Pixels। সাধারন রেজুলেশন-এ সব মনিটর এই এক মিলিয়ন এরও অধিক pixels দেখায়। কোন স্থির অথবা চলমান দৃশ্য দেখানোর জন্য ডিসপ্লে এই প্রতিটি Pixel কে কিভাবে সাজাবে সে বিষয়ে কম্পিউটারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই কাজটি করার জন্য কম্পিউটারের একটি ট্রান্সলেটরের প্রয়োজন হয় যার কাজ থাকে CPU থেকে সংগৃহীত Binary Data কে একটি ছবিতে রুপান্তর করা। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই করে থাকে গ্রাফিক্স কার্ড। একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে বিষয়টি সহজ করা যাক। ধরা যাক, আমাদের কম্পিউটার একটি প্রতিষ্ঠান যার নিজস্ব একটি Art Department রয়েছে। যখন কোন ক্রেতার একটি নির্দিষ্ট ছবির প্রয়োজন হয় তখন সে Art Department-এর নিকট একটি Order place করে। Art Department সেটি কাগজে টুকে নেয়। সব শেষে End Result হিসেবে সেই ক্রেতার Idea একটি দৃশ্যমান ছবিতে রূপ দেয় সেই প্রতিষ্ঠানটির Art Department। এই Art Department-ই হল আমাদের কম্পিউটারের গ্রাফিক্স মেমরি।

গ্রাফিক্স কার্ড কেন প্রয়োজন?

গ্রাফিক্স কার্ড এখন আর শুধুমাত্র গেম খেলা এবং ভিডিও প্লেব্যাক এর জন্য ব্যাবহৃত হয়না। অনেক কাজ রয়েছে গ্রাফিক্স কার্ড এর। যেমনঃ
১ - প্রোগ্রামাররা আবিষ্কার করেছে যে সাধারন গানিতিক হিসাব নিকাশ দ্রুততর করতে গ্রাফিক্স কার্ড সাহায্য করে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেমনঃFacial Recognition এবং Language Processing এর কাজ করে গ্রাফিক্স কার্ড।
২ - Cryptocurrency mining এর কাজেও গ্রাফিক্স কার্ড সাহায্য করে।
৩ - ভাল মানের গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া ভিডিও এডিটিং সম্ভব না।
৪ - Photoshop এবং Illustrator এর কাজ সহজতর করে গ্রাফিক্স কার্ড।
এখন সবার মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে আমার PC তে তো গ্রাফিক্স কার্ড নেই। আমি কি Photoshop এবং Illustrator এর কাজ করতে পারবোনা? Youtube-এ 4K ভিডিও দেখতে পারবনা? অবশ্যই পারব। কারণ, আমাদের সবার PC তে Intel অথবা AMD এর গ্রাফিক্স কার্ড (কম শক্তিশালী) ইন্টিগ্রেটেড থাকে। এই গ্রাফিক্স কার্ডগুলো এধরনের lightweight কাজ অনায়াসে করতে পারে। তবে গেমার এবং প্রডাক্টিভ কাজ যারা বেশি করেন তাদের জন্য এক্সটারনাল গ্রাফিক্স কার্ড(NVIDIA,AMD) আছে এমন PC কেনার পরামর্শ থাকল।

পরিমান নাকি পরিচয়?

কম্পিউটার কেনার সময় আমরা সব চেয়ে যে ভুলটি বেশি করে থাকি তা হল উপরের এই প্রশ্নের উত্তরটি। আমরা এখনও অনেকে ধারনা করে থাকি যে বেশি মানেই হয়ত ভাল। কিন্তু না। প্রযুক্তি এই নিয়ম মেনে চলে না। প্রযুক্তি মেনে চলে নতুন আবিষ্কার এবং নতুন প্রজন্মের নিয়ম। এক কথায় বলা যায় প্রযুক্তি যত নতুনতর হবে সেটি তার পূর্ব প্রজন্ম থেকে ভাল হবে এমনকি আকার বা সংখ্যায় ছোট হলেও। গ্রাফিক্স মেমরি এর বেলাতেও একই নিয়ম। একটি গ্রাফিক্স কার্ড ভাল হওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি বৈশিষ্ট্য হলঃ
১। মডেল নাম্বার
২। মডেল নাম্বার
৩। মডেল নাম্বার
অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে যে গ্রাফিক্স কার্ড পছন্দ করার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি লক্ষ রাখতে হবে তা হল মডেল নাম্বার। কারণ, মডেল নাম্বার দ্বারা কার্ডটির Graphics Processor(GPU), Clock Rates এবং Memory Bandwith সম্পর্কে জানা যায় যেগুলো নির্ধারণ করে গ্রাফিক্স কার্ডটির ক্ষমতা কতটুকু। যেমনঃ NVIDIA GTX 940MX অথবা AMD Radeon RX 530। এখানে NVIDIA এবং AMD হল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং 940MX এবং 530 হল মডেল নাম্বার।

4 GB or 2 GB? কোনটা ভালো?

শুধু মাত্র বেশি গ্রাফিক্স মেমরি আছে বিধায় সেই গ্রাফিক্স কার্ডটি চয়েস করাটা অনেকটা বড় সাইজ এর তেল এর ট্যাঙ্ক দেখে বাইক কেনার মত এবং এই ভুলটিই আমরা বেশি করে থাকি। মূলত অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে একটি গ্রাফিক্স কার্ড ভাল হওয়ার জন্য। তবে একটি কমন বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে। সেটি হল মডেল নাম্বার দিয়ে কার্ড এর ক্ষমতা বোঝার চেষ্টা করা। Higher the model number, Higher the power।যেমনঃ Nvidia Gtx 940MX এর 4 GB থেকে Gtx 1050 এর 2 GB বেশি শক্তিশালী। তেমনিভাবে Nvidia GT 1030 এর 4 GB থেকে GTX 1060 এর 3 GB বেশি শক্তিশালী।
ওপরের picture-টিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি GTX 1050 2GB এর Performence Radeon RX 560 4GB থেকেও ভালো। তাই আমাদের সবার লক্ষ্য রাখা উচিত যেন ভবিষ্যতে এই ভুলটি আর না হয়।

GDDR3 or GDDR5?

অবশ্যই GDDR5। কারণ, Bandwith নির্ধারণ করে একটি মেমরি এর Performence কতটা ভালো হবে। এজন্য GDDR5 মেমরিগুলোর Performence প্রায় দিগুণ হয় GDDR3 এর মেমরি থেকে। অর্থাৎ GDDR5 এর 1 GB, GDDR3 এর 4 GB থেকে সহস্রগুণে ভাল।

CPU + GPU:

শুধুমাত্র ভাল গ্রাফিক্স প্রসেসর হলেই যে অনেক ভাল Performance পাওয়া যাবে তা একদমই না। ভাল গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে প্রয়োজন ভাল প্রসেসর। 2nd generation এর একটি প্রসেসর এর সাথে যদি বর্তমান সময় এর সবথেকে জনপ্রিয় GPU GTX 1050 জুড়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে মোটেই ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে না কম্পিউটার থেকে। কিন্তু ঐ একই GPU যদি 8th generation এর একটি CPU এর সাথে লাগানো হয় তাহলে অবশ্যই একদম পুরো performance পাওয়া যাবে কম্পিউটার থেকে। তাই সবসময় CPU এর কথা ভেবেই গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে হবে।

কুলিং সিস্টেম এর আবশ্যকতাঃ


কুলিং সিস্টেম ছাড়া একটি কম্পিউটার অনেকটা অচল। কম্পিউটার এর performance কে stable রাখতে এবং দীর্ঘ সময় এর জন্য সচল রাখার জন্য কুলিং সিস্টেম এর বিকল্প নেই বললেই চলে। আমাদের কম্পিউটার এর Central এবং Graphics উভয় Processor অনেক গরম হয় কম্পিউটার যখন সচল থাকে। এই উৎপন্ন তাপ বের করার জন্য তাই প্রয়োজন পরে Exaust Fan এর। এই Exaust Fan গুলোর সমন্বয়কে বলা হয় কম্পিউটার এর কুলিং সিস্টেম। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে যদি অনেক শক্তিশালী গ্রাফিক্স মেমরি লাগানোর কথা মাথায় আনি তাহলে অনেক ভালো মানের একটি কুলিং সিস্টেম ও লাগাতে হবে Performence ঠিক রাখার জন্য।

আশা করা যায় অনেকগুলো কমন প্রশ্নের জবাব পাওয়া গিয়েছে। আর হ্যাঁ, এখন কোন গ্রাফিক্স কার্ড-এর Performance সম্পর্কে জানতে হলে YouTube এ যান এবং Rendering অথবা Gaming Performance দেখে বাজেট এর মাঝে সেরা কার্ডটি খুঁজে বের করে ফেলুন।


Writer: Hasibul Haque Rodro
Rodro is a regular and active intern of NBICT LAB. He is a student from the department of Electrical and Electronic Engineering of Hajee Mohammad Danesh Science & Technology University.

For any kind of question about GPU feel free to e-mail him at: hhr1016@hotmail.com or ask your questions in the comment box.
Share:

কীভাবে নিজের পছন্দের ল্যাপটপটি বাছাই করব?





ল্যাপটপ কেনার আগে আমরা অনেকেই একটা সমস্যায় পড়ি যে কোন ল্যাপটপ কিনব? সবার প্রশ্ন একই হলেও এর সমাধান হয় এক এক জনের জন্য এক এক রকম। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় অনেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত ল্যাপটপটা কিনতে পারেন না। অথবা, যে কাজের জন্য কিনেছেন সেই কাজটিই হচ্ছে না পুরোপুরিভাবে। অবশেষে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমরা যেটা কিনেছি সেটা নিয়েই খুশি থাকার চেষ্টা করি। অথচ এই বড় সমস্যাটির সমাধান কিন্তু অতি সহজে কারো সাহায্য ছাড়াই আমরা নিজেরাই করতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বেসিক জিনিস জানতে হবে। সেগুলা নিয়েই আজকের আলোচনা। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

নিজের প্রয়োজন সম্পর্কে জানাঃ

ল্যাপটপ কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনি মূলত কোন কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন। কেউবা ফটোগ্রাফির কাজ করেন, কেউ আবার সারাদিন এতটাই ব্যাস্ত থাকেন যে ল্যাপটপে চার্জ দেওয়ার সুযোগ তেমন হয়ে ওঠে না। অথচ সারাদিনে অনেকবার আপনার ল্যাপটপ প্রয়োজন হয়। আবার কেউবা প্রচুর গেম খেলেন। তাই প্রথমত ঠিক করুন আপনি মূলত কোন প্রয়োজনে ল্যাপটপটি কিনবেন। সব ল্যাপটপ বা নোটবুকেই গান শোনা, ভিডিও দেখা, নেট সারফিং, গেম খেলা যায় কিন্তু প্রত্যেকটা ল্যাপটপ বা নোটবুকেরি স্পেসিয়ালিটি থাকে যেটি সম্পর্কে ছোট করে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বেশি কঠিন করে না ভেবে সহজভাবে নেওয়ার চেষ্টা করলেই দেখবেন অনেক কিছু শিখে ফেলেছেন।

ল্যাপটপ এর স্পেসিয়ালিটি সম্পর্কে জানাঃ

সব ল্যাপটপ বা নোটবুকেই মিডিয়া কঞ্জাম্পশন, গেমিং, নেট সারফিং, স্টাডি ওয়ার্ক করা যায় কিন্তু কোনোটায় পারফরমেন্স কম আবার কোনোটায় বেশি। তাই চলুন প্রথমে জেনে নিই সাধারণত কত ধরনের নোটবুক বা ল্যাপটপ এর দেখা মেলে বাজারে।
১) বিজনেস নোটবুকঃ
এই নোটবুকগুলো সাধারণত অনেক বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম হয় এবং থিন এন্ড লাইট হওয়ায় সহজে বহন করা যায়। এই ল্যাপটপগুলোতে GPU বা গ্রাফিক্স মেমোরি সচরাচর দেখা যায় না কিন্তু এই ক্যাটাগরির প্রতিটা নোটবুকেরি অনেক প্রিমিয়াম লুক থাকে। তাই যারা সারাদিন অনেক ব্যাস্ত থাকেন এবং খুব একটা গেম খেলেন না তাদের জন্য বেস্ট ক্যাটাগরি হল এই ল্যাপটপগুলো। যেমনঃ ACER Swift series, ASUS Zenbook series, HP Envy series ইত্যাদি।
২) প্রোডাক্টিভ টাইপ নোটবুকঃ
এই ধরনের নোটবুকগুলো টাচ স্ক্রিন বা নন টাচ স্ক্রিন দুই ধরনেরই হয়ে থাকে। তবে এগুলোর স্ক্রিন কোয়ালিটি খুবই ভাল হয়। স্ক্রিনের প্যানেল টেকনোলজি, কালার গ্যামিট, ভিউইং অ্যাঙ্গেল একদম প্রিমিয়াম লেভেলের হয় এবং মাঝারি ক্ষমতার GPU বা গ্রাফিক্স মেমোরি থাকায় লাইট ওয়েট গেম এন্ড ভিডিও এডিটিং এর কাজ মোটামুটি ভাল ভাবেই করা যায়। ফটো এডিটিং এবং ইলাস্ট্রেটর এর কাজের জন্য এই ধরনের নোটবুক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক বলা চলে। কারন, এগুলোর স্ক্রিন প্রায় ১০০% এসআরজিবি কালার গ্যামিট সাপোর্ট করে যা একজন প্রোফেশনাল এর জন্য খুবই দরকারি। এগুলোর দামও একটু বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান এ লেনোভো এবং এসার এর অনেক ভাল প্রডাক্টিভ টাইপ ল্যাপটপ সুলভ মূল্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যা আপনি একটু খুজলেই পেয়ে যাবেন। যেমনঃ LENOVO yoga series, HP Spectre series, DELL Xps series ইত্যাদি।
৩) গেমিং নোটবুকঃ
গেমিং ল্যাপটপ হল একমাত্র ডেস্কটপ রিপ্লেসিং টাইপ ল্যাপটপ। এই ধরনের ল্যাপটপগুলো ফুল সাইজ ৪৫ ওয়াট এর প্রসেসর দিয়ে তৈরি হয় যেখানে উপরের দুই ক্যাটাগরির প্রায় সব নোটবুকগুলোই ১৫ ওয়াট এর প্রসেসর দিয়ে তৈরি। তবে গেমিং ল্যাপটপ এর সব থেকে বড় আকর্ষণ হল এর অনেক শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড যা ৪৫ ওয়াট এর প্রসেসর এর সাথে মিলে হাই সেটিংস এ গেম বা 4k ভিডিও এডিটিং এর কাজ অনেক সহজে এবং দ্রুত করে দেয়।
অনেকের একটি ভুল ধারনা থাকে যে গেমিং ল্যাপটপ এ শুধু গেমই খেলা যায়। কিন্তু ধারনাটি ভুল। উপরের ল্যাপটপগুলো যে কাজ করে সেই সব কাজ গেমিং ল্যাপটপও করতে পারে এবং তা করে আরও দ্রুততার সাথে। তাহলে প্রশ্ন হল আমরা সবাই গেমিং ল্যাপটপ কিনলেই তো পারি। শুধু শুধু অন্যান্য ল্যাপটপ কেন কিনব? আসলে এখানেও কিছু ঝামেলা আছে। যেমনঃগেমিং ল্যাপটপগুলোর দাম হয় অনেক বেশি। এগুলো অনেক ভারী হয় ফলে সহজে বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ফুল সাইজ প্রসেসর হওয়ায় এবং ব্যাটারি সাইজ বেশি না হওয়ায় বেশিক্ষন চার্জ থাকে না এবং বেশিরভাগ গেমিং ল্যাপটপ এর স্ক্রিন প্যানেল এর কালার গ্যামিট এবং ভিউইং অ্যাঙ্গেল ভাল হয়না। তবে বাজেটে যদি ৬ অঙ্কের উপরে যাওয়া যায় তাহলে অনেক ভাল স্ক্রিন এর গেমিং ল্যাপটপ পাওয়া যায়। যেমনঃ ASUS Rog series, HP Omen series, MSI Gl series ইত্যাদি।
৪) স্টুডেন্টস নোটবুকঃ
আমাদের সবথেকে পরিচিত এবং প্রিয় ক্যাটাগরি হল এই নোটবুক ক্যাটাগরি। লো বাজেট এবং মিড বাজেট রেঞ্জের সব ল্যাপটপই এই ক্যাটাগরি এর আওতাভুক্ত। এই ল্যাপটপগুলো উপরের সব কাজই মোটামুটিভাবে করতে পারে। এমনকি মিডিয়াম সেটিংস্‌ এ প্রায় সব গেমস খেলা যায় যেসব ল্যাপটপ এ GPU হিসেবে MX150 অথবা 940MX থাকে। স্টুডেন্টসদের সব চাহিদা পূরণের সব গুণাগুণই থাকে এগুলোর। এমনকি কিছু কিছু ল্যাপটপ এর অনেক ভাল স্ক্রিনও থাকে। যেমনঃ HP Pavilion series, LENOVO Ideapad series, ASUS vivobook seris ইত্যাদি।


সামান্য সময় নিয়ে নেট ঘাটাঘাটি করাঃ

তাহলে এখন যেহেতু আমরা ল্যাপটপ এর সাধারন প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছি তো আমাদের প্রয়োজন মাফিক সঠিক ল্যাপটপটি নির্ধারণ করতে পারব নিশ্চয়ই? হ্যাঁ, অন্তত আমাদের কোন ধরনের ল্যাপটপ প্রয়োজন সেটা নির্ধারণ করতে পারব সহজেই।
এখন শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল অনলাইন স্টোরে গিয়ে নিজ নিজ বাজেট রেঞ্জ এর ভেতরে ল্যাপটপগুলোর স্পেসিফিকেশন চেক করে পছন্দের কেটাগরির ল্যাপটপটি খুঁজে বের করা।কাজটি একটু সময় সাপেক্ষ কিন্তু যত বেশি সময় দিব তত ভালভাবে বাছাই করে বাজেট এর মাঝে বেস্ট ল্যাপটপটি খুঁজে বের করতে পারব।এমনকি কম্পেরিজনও করা যায় ল্যাপটপগুলোর মাঝে অনলাইন স্টোরগুলোত।এই ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আমরা সার্চ করে পছন্দের ল্যাপটপটি খুঁজে বের করে ফেলতে পারব সহজেই।যেমন: ryanscomputers.com এবং startech.com.bd


আচ্ছা আমরা যা জানলাম শুধু মাত্র এই কয়েকটা বিষয় জেনেই কি আমরা আমাদের ল্যাপটপ সম্পর্কে সব কনফিউশন দূর করতে পারব এবং কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টটি কিনতে পারব? মোটেই না। আমরা শুধু সাধারন কিছু বিষয় জেনেছি যা একদম বেসিক। কিন্তু আমাদের আরও কিছু কনফিউশন এর জায়গা থেকে যায়।যেমনঃ 


-গ্রাফিক্স কার্ড ৪ জিবি না ২ জিবি?
-শুধু কি ৪ জিবি এবং ২ জিবি হওয়াটাই কি যথেষ্ট ভাল গ্রাফিক্স কার্ড হওয়ার জন্য?
-Core i7 নিব নাকি i5 নিব?
-একটু পাশ থেকে দেখলে স্ক্রিন নেগেটিভ এর মত দেখা যায় কেন?


কষ্টের টাকা দিয়ে পছন্দের ল্যাপটপটি কেনার আগে এমন আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা প্রয়োজন। পরবর্তী আর্টিকেল গুলোতে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।


Writer: Hasibul Haque Rodro
Rodro is a regular and active intern of NBICT LAB. He is a student of the department Electrical and Electronic Engineering of Hajee Mohammad Danesh Science & Technology University.

For any kind of help about choosing your desired notebook feel free to e-mail him at: hhr1016@hotmail.com or ask your questions in the comment box.

Share:

Why NBICT LAB?

We work on -
1. Data Science & Machine Learning;
2. Microsoft Office Applications;
3. 3D Computer Graphics & Animation;
4. Graphic Design & Multimedia;
5. Website Design & Development;
6. Research & Data Analysis;
7. Training.

Contact Us

Name

Email *

Message *

Our News